নিশীথের অন্ধকার
তবু কখনো নিশীথের মনে কোনোরকম উত্তেজনা আসে না। নিশীথ জেনেছে যে এ এক অপার মধ্যস্থতা, শালবনের মাঝে শাল গাছের ন্যায় এ জীবন গতিশীল তার নিজের সুগন্ধে, বুদ্ধের পায়ের শেষ ছাপের মতো তাদের অস্তিত্ব চিরকালীন - নিশীথ সময়ের সাথে সাথে অন্ধকারের মাঝে এক বিস্ময়ের মতো স্বপ্নের সম্মুখীন হয়। যে জীবনের অতীত নেই, যে জীবন আর এগিয়ে চলে না তার স্বপ্ন, এক নিরাকার ঈশ্বর যার নাম মধ্যস্থতা অথবা বিষণ্ণতা তার স্বপ্ন, নিরালায় শীতের শব্দে ভাঙ্গা ঘুমের মতো, তার অন্তিম যাত্রায় স্নিগ্ধ গরম রক্তের শ্বাসের আবহে সমস্ত কিছু নিরুপায় হয়ে মেনে নেবার স্বপ্ন - এসবের শীর্ষেও শেষ কিছু আছে মনে হয় যখন নিশীথের আধো ঘুম চক্ষে হলুদ দেয়ালের মহাকাশ গঠিত হয়ে চলে, যখন শূণ্যতার গভীরে গিয়ে নিশীথ তুমি বুঝতে পারো - আদতে জগৎ মানে তুমি যেটুকু দেখতে পেলে সেটুকুই, তার মধ্যেও আকাশ আছে, বাতাস আছে, ধুলো পড়া আয়না আছে যাতে ইতিহাস অনুভব করা যায়, আলো আছে, আর নির্জন, অতি নির্জন বিষণ্ণতা আছে।
Comments
Post a Comment